Wednesday, January 18, 2017

ম্যাচ জিততে অসৎ উপায় অবলম্বন করেছিলো নিউজিল্যান্ড!


বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়েলিংটন টেস্টের চার দিন টাইগাররা চালকের আসনে থাকলেও শেষ দিনে এসে আকস্মিকভাবে মারাত্মক ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে যায়। ব্যাটিং স্বর্গ ওয়েলিংটনের উইকেট যেন আচমকাই বদলে যায় পঞ্চম দিনে। এই বদলে যাওয়ার পিছনের কারণ উম্মোচিত হয়েছে। জয়ের জন্য ক্রিকেটের আইন ভেঙ্গেছে কিইউরা!
কালেরকন্ঠের একটি অনুচ্ছেদের মতে, ওয়েলিংটন টেস্ট জয়ের জন্য নিয়ম ভেঙ্গে উইকেটের সাহায্য নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সাধারণত সব ধরণের ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলের অধিনায়ক, কোচ, ম্যানেজারদের নিয়ে সভা করেন সেই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা রেফারি। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে টেস্ট শুরুর আগেও ম্যাচ রেফারির সাথে দুই দলের সভা হয়েছিলো। সেখানে কথা ছিলো, ম্যাচ চলাকালীন পাঁচ দিনে মূল উইকেটের দুই পাশের দুইটি করে উইকেটে পানি দেওয়া হবে না। কেননা, পাশের দুইটি উইকেটে পানি দিলে ম্যাচের উইকেট তা শুষে নিতে পারে; যার ফলে ব্যাটসম্যানদের জন্য তা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। তাই, সিদ্ধান্ত নেয়ে হয়েছিলো কোনো প্রকারের পানি দেয়া হবে না।

তবে বাংলাদেশ দলের একটি সূত্রের মতে, “চতুর্থ দিন খেলার পর মূল উইকেটের পাশেরটিতে পানি দিয়েছেন কিউরেটর। আমাদের কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে সে দৃশ্য মোবাইলে ধারণও করেছেন।” ঘটনাটি আড়ালে ঘটলেও বাংলাদেশের কোচ হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, “অবাক করা কাণ্ড হলো নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হ্যাসনকে দেখেছি কিউরেটরের সঙ্গে কথা বলতে। আর তিনি মাঠ ছাড়ার মিনিট পাঁচেক পরেই পানি দেওয়া শুরু করেন কিউরেটর।”
তবে উইকেটে পানি দেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে রিজার্ভ আম্পায়ার ক্রিস্টোফার মার্ক ব্রাউনের চোখের সামনেই। সেটিও নাকি মোবাইলে ধারণ করেছেন বাংলাদেশ কোচ। পুরো বিষয়টি ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আইসিসির সদস্যদের অবগত করেছিলেন কোচ। সকল সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে সেদিন সন্ধ্যায় ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের কাছে অভিযোগ করেন হাথুরুসিংহে। তবে কাজের কাজ কিছু হয় নি।
টেস্টের ৫ম দিনে পিচ হয়ে উঠে ভয়ানক। ফলাফল অল্পতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে ক্রিকেটারদের দৃঢ় বিশ্বাস, “উইকেটে পানি দেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চম দিনে ম্যাচটাই বাতিল হতে পারত, যদি ভুক্তভোগী হতো ক্রিকেট রাজনীতির শক্তিধর কোনো দল। “ দল হিসেবে পরিণত হলেও ভালো ক্রিকেট রাজনীতির শক্তিশালী দল হিসেবে এখনো ছোটই রয়ে গেছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, জেতার জন্য উইকেটে পানি দেয়ার চক্রান্ত, কিইউদের দিকে সবার নজরকে স্বাভাবিকভাবেই বদলে দিবে।

সহজ পরীক্ষায় জেনে নিন সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে? জেনে রাখুন কাজে লাগবে

শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে? এটি প্রায় সকলের জন্য একটি মজাদার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। মা-বাবারও জানার আগ্রহের কমতি থাকে না। তবে ২০ সপ্তাহের আগে শিশুটির লিঙ্গ সম্পর্কে ডাক্তার জানাতে পারেন না।

২০ সপ্তাহ তো অনেক সময়, একটু চেষ্টা করলেই আগে জানা যায়।অনেক মায়েরাই তাদের গর্ভের সন্তান সম্পর্কে আলট্রাসনগ্রাম করার আগেই জানতে পারেন। কিন্তু, কীভাবে তা সম্ভব হয়, আজ আপনারাও তা জেনে নিন-
১. কোন খাবারের প্রতি আপনার আকর্ষণ :- বেশীরভাগ মহিলা গর্ভাবস্থায় হরমোন ভারসাম্যহীনতায় ভোগে। যার ফলে তাদের মাঝে বিভিন্ন কিছু খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে। আপনার ক্ষুধিত খাদ্য টাইপ আপনার গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারে। আপনার যদি মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবার ইচ্ছা হয়, তাহলে সম্ভবত মেয়ে হবে আর যদি নিমকি এবং মসলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে ছেলে হতে পারে।
২. পেটে সমস্যা হচ্ছে কি :- সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের গর্ভাবস্থায় সকালে হালকা বমি বা অন্য কোন সমস্যা হয় নি তাদের ছেলে হয়েছে। তবে, শিশুটি মেয়ে হলে পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং সকালে শারীরিক অসুস্থতা বেশি বৃদ্ধি পায়।
৩. পেটের অবস্থান :- গর্ভাবস্থায় পেট বেশি ভারী মনে হলে, মেয়ে শিশু হবে। আর যদি ভার কম অনুভূত হয় তাহলে ছেলে হবে। শিশুটি যদি পেটের ডানদিকে আছে বলে মনে হয়, তাহলে মেয়ে হবে। আর যদি সমস্ত পেট জুড়ে বা বামদিকে অনুভূত হয় তাহলে ছেলে হবে।
৪. হার্টবিট রেট :- ডাক্তারের নিকট চেকআপের সময়, যখন ডাক্তার আপনার গর্ভস্থ শিশুর হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করেন তখন লক্ষ্য রাখুন, হৃদস্পন্দনের রেট কত। হৃদস্পন্দন যদি 140 BPM এর বেশি অথবা সমান হয়, তাহলে শিশুটি মেয়ে। আর যদি হৃদস্পন্দনের রেট 140 BPM এর কম হয়, তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি ছেলে হবে।
৫. ব্রেকআউট :- গর্ভাবস্থায় আপনার ত্বকে কি ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যা আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করছে? তাহলে অবশ্যই আপনার মেয়ে হবে। আগের দিনের মানুষ বলত, মেয়ে শিশুরা মায়ের সৌন্দর্য চুরি করে, তাই মায়ের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। যদিও তা কুসংস্কার।
৬. রিং টেস্ট :- একটি আংটি নিয়ে সুতার সাথে বেঁধে নিন। তারপর আপনি শুয়ে আপনার পেটের উপর আংটিটি ঝুলিয়ে দিন। এবার আংটিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করুন। যদি আংটিটি আপনার মাথা ও পায়ের দিকে সমান সমান দুলতে থাকে, তাহলে আপনার মেয়ে হবে। আর যদি রিংটি গোল গোল ঘুরতে থাকে তাহলে আপনার ছেলে হবে।
৭. শিশুদের উপদেশ নিন :- গর্ভাবস্থায় থাকা অবস্থায় অনেক আপনজনেরা পেটের সাথে কান লাগিয়ে শিশুটিকে অনুভব করতে চায়। অনেক ছোট ছোট শিশু আছে, যারা পেটের সাথে কান লাগিয়ে কথা বলতে চায়। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন, যদি কোন ছেলে শিশু আপনার পেটে কান লাগিয়ে বারবার শিশুটিকে অনুভব করতে চায়, তাহলে আপনার মেয়ে হবে। আর যদি কোন মেয়ে শিশু এ কাজটি করে, তাহলে আপনার ছেলে শিশু হবে।
এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে আপনি ডাক্তার বলার আগেই বুঝতে পারবেন, কে আসছে আপনার জীবনে। তাহলে আগে থেকেই তার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন। যেমন- মেয়ে হলে সবকিছু গোলাপি আর ছেলে হলে নীল। ছেলে ও মেয়ের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই। তবে, জানার আগ্রহ ও কৌতূহল আবিষ্কারের জন্য এই পদ্ধতি।


Tuesday, January 17, 2017

সেদিন তারেক সাঈদের পা ধরেছি, সে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে


নারায়ণগঞ্জে সাত জনকে অপহরণের পরই স্বজনরা র‌্যাবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেছিলেন। তাদেরকে উদ্ধারে বাহিনীটির স্থানীয় কার্যালয়ে ছুটেও গিয়েছিলেন তারা।
কিন্তু র‌্যাব-১১ এর সে সময়ের অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ তাদেরকে ফিরিয়ে দেন। বলেন, এই ঘটনাটি তারা নয়, ঘটিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত নেতা শামীম ওসমান।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থেকে গাড়িতে করে তুলে নেয়া হয় সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন,
নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিমকে।
আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে রায় ঘোষণা হয়।
বিচারক যে ২৬ জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে তাদের ১৭ জনই র‌্যাব সদস্য। আবার কারাদণ্ড পাওয়া নয় জনের সাত জনও এই বাহিনীটির সাবেক কর্মকর্তা।
এই রায়ের পর নিহত কাউন্সিলর নজরুলের শ্বশুর শহীদ কমিশনার আড়াই বছরেরও বেশি সময় আগে অপহরণের সেই দিনের স্মৃতিচারণ করেন।
জানান, র‌্যাব-১১ এর সে সময়ের কমান্ডার কীভাবে এই ঘটনাটিতে নিজেদেরকে বাঁচাতে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন।
নজরুলের শ্বশুর বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানতাম র‌্যাব ধরে নিয়ে গেছে। আমরা র‌্যাবের অফিসে গিয়ে তারেক সাঈদের পা ধরে কান্নাকাটি করেছি।
তখন তারেক সাঈদ আমাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে। বলেছে, শামীম ওসমানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে শামীম ওসমান এদেরকে মেরে ফেলেছে।’
এই হত্যায় প্রধান আসামি নুর হোসেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ডান হাত বলেই পরিচিত ছিলেন।
এই হত্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই দুই জনের একটি টেলিফোন আলাপে প্রকাশ হয়। নুর হোসেন শামীম ওসমানের মোবাইল ফোনে কল করে বলেছিলেন, তিনি এই হত্যায় জড়িত নন। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় যে, নুর হোসেনকে শামীম ওসমানই ভারতে চলে যাওয়ার পথ বাতলে দেন। শামীম ওসমান পরে ২০১৪ সালের ১৪ মে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, এই অভিযোগ সত্য নয়।
তাকে নূর হোসেন ফোন করেছিলেন-এটা সত্য, কিন্তু তিনি তাকে বলেছিলেন আত্মসমর্পণ করতে। তিনি বলেন, নূর হোসেনের সঙ্গে তার কথোপকথনের পুরোটা পত্রিকায় ছাপা হয়নি। তিনি বলেন, ‘কিছু কাটা আছে, পুরো ব্যাপারটা সাজানো। আংশিক ছাপা হয়েছে, আংশিক হয়নি। কিংবা এডিটিং করেছে।’
ওই সংবাদ সম্মেলনেই শামীম ওসমান অভিযোগ করেন, ঘটনাটি র‌্যাবই ঘটিয়েছে। জানান, ২৭ এপ্রিল অপহরণের পর তিনি র‌্যাবের সঙ্গে কথা বলেছেন।
র‌্যাব তাকে আশ্বাস দিয়েছিল অপহৃত সাত জনকেই ফিরিয়ে দেয়া হবে।
নূর হোসেনের সঙ্গে তার কথোপকথনের টেপ প্রকাশ কারা করেছে-ওই সংবাদ সম্মেলনে সে প্রশ্নও তুলেছিলেন শামীম ওসমান।

Monday, January 16, 2017

আড়াই হাজার বছরের পুরনো কবরে এক নারীর দারুণ ইতিহাস, শুনলে চমকে যাবেন!



একশ’ বা দুশ’ বছরের ঘটনা নয়, আড়াই হাজার বছরের পুরনো কবর।  এক নারীর সমাধিস্থলে মিললো দারুণ এক ইতিহাস, যা শুনলে চমকে যাবেন!

গ্রিসের এথেন্সে ২৪০০ বছর আগের এক নারীর সমাধিস্থলে মিলেছে ৫টি ফলক।  এথেন্সের কয়েকটি পানশালার কয়েকজন মানুষের অভিশাপ ছিল ফলকগুলো।
৪টি ফলকে খোদাই করে অভিশাপের কথা লেখা হয়েছে।  অন্ধকার দুনিয়ার দেবতা ‘সিথোনিক’-এর কাছে অনুরোধ করা হয়েছে এথেন্সের কয়েকটি পানশালার চার জোড়া স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে।  পঞ্চম ফলকটি ছিল ফাঁকা।  সম্ভবত এ ফলকে অভিশাপের কথাগুলো উচ্চারণ করা হয়েছে।
একটি লোহার দণ্ডের মাধ্যমে ৫টি ফলককে এক করা হয়েছে।  এগুলো গুছিয়ে ওই সমাধিস্থলে রাখা হয়।  ওই সমাধি থেকে অভিশাপ সংশ্লিষ্ট দেবতার কাছে পৌঁছে যাবে প্রাচীনকালের মানুষের ধারণা এমনটাই ছিল।
একটি অভিশাপের ফলকে দিমেত্রিওস এবং পানাগোরা নামের দুজনকে উপলক্ষ্য করা হয়েছে।  তাতে যা লেখা রয়েছে তার ভাষা অনেকটা এমন- তোমরা পানাগোরা ও দিমেত্রিওস এবং তাদের পানশালা ও সম্পদের ওপর ঘৃণা বর্ষণ করো।
আমার শত্রু দিমেত্রিওস এবং পানাগোরাকে আমি অন্ধ করে দেব, রক্ত ও ছাইয়ের মাঝে, অন্যান্য মৃতের সঙ্গে…।  আমি দিমেত্রিওসকে এমন শক্তভাবে বাঁধবো, যতটা শক্তভাবে সম্ভব এবং আমি তোমার জিহ্বায় একটা কাইনোটোস দিয়ে আঘাত করবো।
কাইনোটোস শব্দের অর্থ কুকুরের কান।  এটা প্রাচীন গ্রিসের জুয়ার একটি চাকতির নাম, যার মাধ্যমে সবচেয়ে কম মূল্যের কিছু বোঝানো হতো।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির প্রশিক্ষক জেসিকা ল্যামোন্ট সম্প্রতি ‘জিৎসরিফ্ট ফার প্যাপিরোলোগি আন্ড এপিগ্রাফিক’ জার্নালে গবেষণাপত্রে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন।
একটি মানুষের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পেরেক ঠোকানোর মতো কর্মকাণ্ড যেমন হবে, অভিশাপপূর্ণ ফলকের মাধ্যমে তেমনি ফুটে উঠেছে।
২০০৩ সালে গ্রিসের ইফোরেট ফর প্রিহিস্টোরিক অ্যান্ড ক্লাসিক্যাল অ্যান্টিকুইটিসের পুরাতত্ত্ববিদরা এক নারীর সমাধিস্থল খোদাই করে ফলকগুলো খুঁজে পান।
পিরাউইসের উত্তরে সমাধিটির সন্ধান মেলে।  এটা পোর্ট অব এথেন্সের কাছেই।  অবশ্য কবরটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ফলকগুলো নিয়ে গবেষণা করছিলেন।
লাইভ সায়েন্সকে ল্যামোন্ট জানান, অভিশাপ-সম্বলিত ফলকগুলোকে কার্যকর করতে তা সমাধিতে রাখার নিয়ম পালন করা হতো প্রাচীন গ্রিসে।  এমন একটি স্থান যেখানে দেবতার সঙ্গে মৃত বা ফলকের যোগাযোগ ঘটবে বলে বিশ্বাস করা হতো।  হয়তো মৃত নারীর সঙ্গে অভিশাপের কোনো সম্পর্ক নেই। অভিশাপ প্রদানকারী ওই সময় এ নারীর কবরে ফলকগুলো রেখে দেয়ার সুযোগ পেয়ে যান।
ধরে নেয়া যায়, সমাধিস্থলে প্রবেশের ব্যবস্থা ছিল।  ফলকে লেখা কথাগুলো স্পষ্ট ছিল।  সম্ভবত কোনো পেশাদার অভিশাপ লেখক খোদাই করে এসব লিখেছিলেন।  মারাত্মক ভাষায় অভিশাপ প্রদানের বিষয়টি এতদিন পর উদ্ধার হওয়ার ঘটনা সত্যিই বিরল।
ল্যামোন্টের মতে, যিনি অভিশাপ করেছেন, সম্ভবত তিনি পানশালার মালিক ওই চার জোড়া স্বামী-স্ত্রীর প্রতিযোগী কোনো ব্যবসায়ী।  কোনো না কোনো  কারণে এমন অভিশাপ।  তাদের সঙ্গে তার বিরোধও থাকতে পারে।  সূত্র : ফক্স নিউজ


আপনি কোন রোগে আক্রান্ত, জেনে নিন জিভের রঙ দেখে

শরীর খারাপ হলে চিকিত্‍সকরা রোগীর জিভটা দেখেন। তার রঙ ও আকার দেখে শারীরিক সমস্যার কথা জানেন। কয়েক শতাব্দী পুরনো এই পন্থা আসলে চীনাদের চিকিৎসা পদ্ধতির অঙ্গ ছিল। আপনারাও বাড়িতে বসেই শরীরে কোথায় সমস্যা তা জানতে পারেন নিজেদের জিভ দেখেই।

১) জিভের ওপর পাতলা সাদা আবরণ : জিভ মূলত আমাদের পরিপাকতন্ত্রের খবরাখবর জানায়। কারণ জিভ থেকেই এই তন্ত্রে শুরু। জিভের ওপর যদি পাতলা সাদা একটি আস্তরণ থাকে, তা হলে বুঝবেন হজমে কোনও সমস্যা নেই। পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছে।
২) মোটা সাদা আস্তরণ : এটা শরীর খারাপের সংকেত। এটা হলে বুঝবেন শরীরে কোথাও চোট রয়েছে অথবা ভেতরে ভেতর শরীর খারাপ হচ্ছে। শরীরে কোনও একটি অংশ ঠিক মতো কাজ করছে না।
৩) হলুদ আস্তরণ : মূলত জ্বর হলে জিভের ওপর হলুদ আস্তরণ পড়ে। দেহের তাপমাত্রা অনেক কারণে বাড়তে পারে। সেটা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে, শরীরের কোনও অংশ ফুলে গিয়ে থাকতে পারে।
৪) উপরিভাগে লাল চাকা-চাকা চামড়া উঠে যাওয়া: এর অর্থ শরীরে এনার্জি বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। কোনও অ্যালার্জির কারণেও এমনটা হতে পারে। চর্মরোগ, র‌্যাশ প্রভৃতি রোগের লক্ষণ হতে পারে। সুস্থ শরীরে জিভের স্বাভাবিক রং হাল্কা গোলাপি। এর অর্থ আপনার শরীরে বিশেষ কোনও সমস্যা নেই। পরিপাকতন্ত্রও ঠিকমতো কাজ করছে।
এ বার দেখে নিন জিভের রং কী রকম হলে শরীরে কোথায় সমস্যা দেখা যায়।
১) ফ্যাকাশে : জিভের রং যদি ফ্যাকাশে হয়ে যায় বুঝতে হবে হজম ঠিক মতো হচ্ছে না। ভেতরে ভেতরে ঠান্ডা লেগে রয়েছে। এর সঙ্গে যদি জিভ বার বার শুকিয়ে যায়, তা হলে তা অ্যানিমিয়ার লক্ষণ হতে পারে। তার সঙ্গে ইনসমনিয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া প্রভৃতি রোগের লক্ষণ হতে পারে।
২) উজ্জ্বল লাল রং : এ রকম রং দেখলে বুঝবেন শরীরে কোথাও ইনফেকশন রয়েছে। প্রথমে জিভের ডগার দিকটাই লাল থাকবে। পরে তা পুরো জিভে ছড়িয়ে পড়বে।
৩) জিভের পাশে লাল রং : খুব মশলাযুক্ত খাবার খেলে, প্রতুর ফ্যাট জাতীয় এবং অ্যালকোহলের মাত্রা শরীরে বেশি হলে এমন রং হয়। কোষ্ঠকাঠিণ্যের মতো সংস্যা থাকলেও জিভের রং এমন হয়।
৪) নীল রং : শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে জিভের রং পাল্টে গিয়ে নীল বর্ণ হতে থাকে। ডাক্তারি ভাষায় একে সায়ানোসিস বলে। যদি এমনটা দেখেন অবিলম্বে চিকিত্‍সকের কাছে যান। রক্তে সমস্যা, হৃদযন্ত্রের সমস্যার মতো রোগ থাকতে পারে। তাই দেরি করা ঠিক নয়।
৫) কালো রং: সাধারণ কারও কারও জন্ম থেকেই এ রকম রং থাকতে পারে। তবে যদি হঠাত্‍ কালো রং দেখেন তা হলে বুঝবেন এক সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ব্যাক্টেরিয়া জমা হয়েছে জিভে। তবে শুরু থেকেই এমনটা হবে না, প্রথমে হলুদ, তার পরে ব্রাউন, তার পর কালো রং হবে।
৬) হলুদ রং : জিভের রং সাধারণ এমন হয় না। যখন হবে, তখন বুঝবেন লিবারে বড় সংস্যা রয়েছে। সম্ভবত জন্ডিস হয়ে গিয়েছে। দেরি না করে ডাক্তারের পরাম৪শ নিন।
৭) পার্পল রং : দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে কোনও সমস্যা থাকলে জিভের রং পার্পল হতে শুরু করেন। এটার অর্থ শরীরে ভিটামিন B-এর ভীষণ ঘাটতি রয়েছে। মনে রাখবেন, শরীরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল জিভ। তবে আমরা অনেকেই এর খেয়াল রাখি না। প্রতিদিন জিভ পরিষ্কার রাখলে অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। রোজ সকালে দাঁত মাজার সময়ই জিভ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। সুস্থ থাকবেন।


রাতে বিয়ে সকালে স্ত্রীকে তালাক, কিন্তু কেন? কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন!


বিয়ের ঘণ্টা বেজেছে। চারদিকে সাজ সাজ রব, আলোর ঝলকানি। বরযাত্রী এসেছেন কনের বাড়িতে। সব আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি বর-কনের কবুল বলাও শেষ। এবার বরের সঙ্গে কনে যাবেন শ্বশুরবাড়ি। সাজানো বাসরে স্বামী-স্ত্রী প্রথমবারের মতো দেখবেন একে অপরকে। কিন্তু তা আর হলো না।

ভালো করে স্ত্রীর মুখ দেখার আগেই বিয়েবাড়িতে কনেকে তালাক দিয়ে ফিরে গেলেন বর! ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজনৌর জেলার কারোন্ডা পাচদু গ্রামে। গতকাল মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিয়েবাড়ি থেকে কনে পক্ষের অর্থ ও সোনা চুরি হয়।
কনে পক্ষ সন্দেহের তির ছুড়ে দেয় বর পক্ষের দিকে। সারা রাত বর কারি ইমরান ও তাঁর বাবাকে বেঁধে রাখা হয়। এতে অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে সকালে তালাক দিয়ে ফিরে যান বর।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গত সোমবার রাতে চাঁদপুরন গ্রাম থেকে বিয়ে করার জন্য বর ইমরান বরযাত্রী নিয়ে পাচদু গ্রামে আসেন।
বিয়েও হয়ে যায় বর-কনের। বিয়ের পরপরই কনে পক্ষ অভিযোগ তোলে, আসর থেকে তাদের ১ লাখ ৪৫ হাজার রুপি ও বেশ কিছু গয়না চুরি হয়েছে।
কনের বাবা নাসির আহমেদের দাবি, বরের ভাগনে আকিব ও একজন নারী এই অর্থ ও গয়না চুরি করেছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে অর্থ ও গয়না ফেরত দিতে তাঁরা বর ইমরান ও তাঁর বাবাকে বিয়ের পর সারা রাত বেঁধে রাখেন।
বিষয়টি পুলিশে জানালে, সকালে পুলিশ কনের বাড়ি গিয়ে বর ও তাঁর বাবাকে মুক্ত করে। এ ঘটনার পর আর এক মুহূর্তও দেরি না করে রাতে বিয়ে করা স্ত্রীকে সকালেই তালাক দেন স্বামী ইমরান।
কারি ইমরান বলেন, বিয়ের রাতে এই বিষয়টির জন্য তিনি বেশ অপমানিত বোধ করেন। তিনি বলেন, ‘বিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এরপরও আমাকে বাধ্য হয়ে সদ্যবিবাহিত স্ত্রীকে তালাক দিতে হয়েছে।’
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক শিব কুমার গৌড় বলেন, দুই পক্ষকেই থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেনি। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এ বছর সবচেয়ে কষ্টের দিন ১৬ জানুয়ারি, জেনে নিন কেন?


বছরের সব ক’টা দিন এক রকম কাটে না। কোনো একটা দিন খুব আনন্দে-উচ্ছ্বাসে কাটল, তো পরের দিনটাই কোনো কারণে মনমরা অবস্থায় কেটে গেল।

কিন্তু ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি দিনটি নাকি সব দিক দিয়েই বছরের সব চেয়ে দুঃখের দিন হতে চলেছে। এমনটাই মত প্রখ্যাত লাইফ কোচ এবং হ্যাপিনেস কনসালট্যান্ট ক্লিফ আরনল-এর।
প্রত্যেক বছরই সবচেয়ে মন খারাপ করা দিনটিকে চিহ্নিত করেন সুখ-বিশেষজ্ঞরা। এই দিনটির পোশাকি নাম ‘ব্লু মানডে’।
‘মানডে’, কারণ বছরের সবচেয়ে দুঃখের দিনটি অবধারিত ভাবেই একটি সোমবার হয়। এ বছরের সর্বাধিক দুঃখের দিন ১৬ জানুয়ারি তেমনই একটি সোমবার। আরনল বলছেন,
১৬ জানুয়ারি ভয়ানক মন খারাপ হওয়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। কী সেগুলি? জেনে নিন:-
১. ১৬ জানুয়ারি একটি সোমবার। সাধারণ ভাবে উইকেন্ডে ছুটি উপভোগ করার পর আবার যখন সোমবার নতুন করে কাজে যেতে হয়, তখন মন খারাপ হয়ই।
২. মাসের মাঝামাঝি সময়টাও আর্থিক কারণে একটু মানসিক চাপ যায় মানুষের। শুরুর দিকটায় স্বচ্ছলতা থাকে। সেই স্বচ্ছলতা মাস এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করে। মাসের মাঝামাঝি নাগাদ, এই দুশ্চিন্তা মানুষকে গ্রাস করে যে, বাকি মাসটা ঠিকঠাক চলবে তো!
৩. পৃথিবীর একটা বড় অংশে এই সময়টায় শীতকাল। মরা রোদ্দুর এবং হিমেল বাতাস মানুষের মনকে অবসাদগ্রস্ত করে তোলে বলে মনে করেন মনস্তাত্ত্বিকরা।
৪. নতুন বছরে অনেক কিছু নতুন করে করবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু আদপে সেই সমস্ত প্রতিজ্ঞার প্রায় কোনোটিই যে রক্ষা করা আপনার দ্বারা হয়ে উঠবে না, তা বছরের প্রথম দুই হপ্তার মধ্যেই আপনি বুঝে গিয়েছেন। সেই নিয়ে একটা মন খারাপ ভাব থাকবেই।
৫. নতুন বছর উপলক্ষে অনেক হই হুল্লোড় করেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে একেবারে সাদামাটা জীবন কাটছে আপনার। সেই নিয়েও একটা খারাপ লাগা কাজ করছে আপনার ভেতরে।
তাহলে আর কী, নিজেকে প্রস্তুত রাখুন আগামী ১৬ জানুয়ারির জন্য। সেই দিনটা সত্যিই হয়তো খুব মন খারাপের মধ্যে কাটতে পারে আপনার।-এবেলা


ফাঁসির দণ্ড পাওয়ার পর আইনজীবীকে যা বললেন নূর হোসেন



প্রায় তিন বছর পর নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের মামলায় ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তবে রায়ে বাদিপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ন্যায়বিচার পাননি বলে দাবি করেছেন মামলার প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন।
সোমবার সকালে রায় ঘোষণার পর দুপুরে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের নূর হোসেনের এ প্রতিক্রিয়ার কথা জানান তার আইনজীবী এম এ রশীদ ভূঁইয়া।
আইনজীবী জানান, নূর হোসেন বলেছেন, আদালত দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী এ রায় দিয়েছেন। তাতে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন নূর হোসেন। সেখান থেকে খালাস পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এর আগে সকালে এ দুই মামলায় রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন। রায়ে চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদসহ ২৬ আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া বাকি আসামির মধ্যে ৩ জনকে ১৭ বছর ও ৫ জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭ জন র‌্যাবের সাবেক সদস্য। মামলার শুরু থেকেই র‌্যাবের সাবেক ৮ সদস্যসহ ১২ আসামি পলাতক।

বিশ্ব সংবাদ শীর্ষ আট ধনীর সম্পদ ৩৬০ কোটি মানুষের চেয়ে বেশি!

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আট জন ব্যক্তির হাতে যতো সম্পদ আছে সেই সম্পদের পরিমাণ দুনিয়ার অর্ধেক মানুষের (৩৬০ কোটি) সম্পদের সমান। আন্তর্জাতিক এক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
সংস্থাটি এ সংক্রান্ত যেসব তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান ক্রমশই বাড়ছে। এবং এই ব্যবধান যতো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিলো আসলে তার চাইতেও অনেক বেশি। সবচেয়ে ধনী এই আট জনের মধ্যে রয়েছেন বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ এবং ওয়ারেন বাফেট।
অক্সফাম বলছে, এই আট জনের হাতে যতো সম্পদ রয়েছে তার পরিমাণ বিশ্বের ৩৬০ কোটি দরিদ্র মানুষের সম্পদের সমান। তবে অনেকেই অক্সফামের এই তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, প্রতি বছর অক্সফ্যাম সম্পদের যে পরিসংখ্যান তুলে ধরছে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু সংস্থাটি এর যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে সেটি ঠিক নয়।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অফ ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের একজন গবেষক মার্ক লিটলউড বলেছেন, অক্সফামের উচিত প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উপায়ের দিকে জোর দেওয়া। অক্সফামের প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশ করা হলো যখন সুইজারল্যান্ডে শুরু হয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলন। এই সম্মেলনে বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীরা অংশ নিচ্ছেন।
অক্সফামের একজন কর্মকর্তা ক্যাটি রাইট বলেছেন, এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ডাভোস সম্মেলন শুধু ধনী লোকেদের কথার ফুলঝুরির সম্মেলন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অক্সফাম বলছে, ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার কারণে জনরোষ বাড়ছে। এর ফলে বড় ধরনের রাজনৈতিক আলোড়নও হতে পারে।
অক্সফামের ক্যাটি রাইট বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোটও তার একটি ফল। তিনি বলেন, লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। এবং তারা বিকল্প কিছুর দাবি জানাচ্ছে। কারণ কঠোর পরিশ্রমের পরেও তারা পিছিয়েই থাকছে। বিবিসি।

সব লাশের মুখ ছিল ডাবল পলিথিনে মোড়ানো

প্রায় তিন বছর আগে সাত খুনের নৃশংস ঘটনা শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, পুরো দেশকে নাড়া দিয়েছিল। সাতজনকেই হত্যা করা হয়েছিল অভিনব নৃশংসতায়। একই স্টাইলে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় প্রত্যেককে যাতে করে লাশ ভেসে উঠতে না পারে। প্রত্যেকটি লাশের মুখ ছিল ডাবল পলিথিন দিয়ে মোড়ানো। সাত খুনের ঘটনায় ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১০৬ জন সাক্ষ্য দেন। আদালতে ২১ আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এই আসামিদের  জবানবন্দিতেও ওঠে আসে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা। সেখানে তারা নিজের ভাষায় হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন।
মামলার নথি, চার্জশিট, জবানবন্দি ও সুরতহাল রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়,  নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে অপহরণের দিনক্ষণ আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি চাঁদাবাজির মামলায় স্থায়ী জামিন নিতে নজরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ আদালতে আসবেন। এ সম্পর্কে মেজর (অব.) আরিফ হোসেন নিশ্চিত হয়েই সেদিন সকালে অপহরণ পার্টিকে বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড় করান। সাদা পোশাকের একটি টিম নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়। তারা সার্বক্ষণিক মেজর আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। নজরুল ইসলাম সেদিন তার গাড়ি না এনে সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপনের সাদা রংয়ের এক্স করোলা গাড়ি ব্যবহার করে আদালত প্রাঙ্গণে আসেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে আদালত থেকে ওই গাড়িতে করে নজরুল ইসলাম বের হওয়ার পরপরই মেজর আরিফের কাছে খবর পৌঁছে দেয় আদালতের আশপাশে অবস্থান নেওয়া সাদা পোশাকের র‌্যাব সদস্যরা। নজরুলের সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, সিরাজুল ইসলাম লিটন, তাজুল ইসলাম। গাড়ি ড্রাইভ করেন স্বপনের ব্যক্তিগত গাড়িচালক জাহাঙ্গীর। নজরুলদের গাড়ির পেছনে ছিল আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়ি। নজরুলদের বহনকারী গাড়িটি নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড হয়ে উত্তর দিকে যাওয়ার পথে ফতুল্লা স্টেডিয়ামের সামনে (ময়লা ফেলার স্থান) পৌঁছার পর মেজর আরিফের নেতৃত্বে গাড়ির গতিরোধ করা হয়। নজরুলের গাড়ির পেছনে ছিল আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়ি। পরে দুটি গাড়ি থেকে সাতজনকে অস্ত্র দেখিয়ে র‌্যাবের দুটি গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।
গাড়িতে তাদের ওঠানোর পর একে একে প্রত্যেকের শরীরে ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করা হয়। অচেতন হওয়া সাতজনকে কয়েক ঘণ্টা তাদের গাড়িতেই রাখা হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হয় নরসিংদীতে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিকল্পনা মতে কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বালু-পাথর ব্যবসাস্থল জনমানুষ শূন্য করার জন্য নূর হোসেনকে ফোন দেন মেজর (অব.) আরিফ হোসেন। গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পর র‌্যাবের গাড়ি ওই স্থানে পৌঁছায়। গাড়ির ভেতরই অচেতন প্রত্যেকের মাথা ও মুখ পলিথিন দিয়ে মোড়ানো হয়। পরে গলা চেপে একে একে শ্বাস বন্ধ করে মারা হয় সাতজনকে। সাতজনের নিথর দেহ গাড়ি থেকে নামানো হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫ নম্বর ঘাট থেকে র‌্যাবের নির্দিষ্ট নৌকা নিয়ে যাওয়া হয় কাঁচপুর ব্রিজের নিচে।
লাশগুলো নৌকায় উঠিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে যাওয়ার পথে নির্দিষ্ট স্থান থেকে লাশ গুমের উপকরণ নৌকায় তোলা হয়। নৌকার মধ্যেই সাতজনের পায়ে ২৪টি করে ইটবোঝাই সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে বাঁধা হয়। এরপর হাত পেছন করে রশি দিয়ে বাঁধা হয়।   মুখমণ্ডল ডাবল পলিথিন দিয়ে গলার কাছে বাঁধা ছিল। পেট ছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোজাসুজি ফাঁড়া। এভাবেই সাতজনের লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকা সংলগ্ন নদীতে কয়েকটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এরপর ৩০ এপ্রিল বিকালে পুলিশ গিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর এক কিলোমিটারের মতো এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একে একে ছয়টি লাশ তুলে আনে। এরপর ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাত খুন মামলা পরিচালনা করা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মাত্র ৮ মাসেই মামলার আইনি কার্যক্রম শেষ হয়। ১২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। যুক্তিতর্ক ও আসামিদের জেরাতে রাষ্ট্রপক্ষ তথা আমরা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে মামলায় অভিযুক্তরা সবাই সাতজনকে অপহরণ থেকে শুরু করে হত্যা, গুমসহ পুরো কার্যক্রমে জড়িত। সোমবার নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ৯ জনকে সাত থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে তিনজন পলাতক। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

সালমানের আইডি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আরেকজন: এরপর তুলকালাম


সালমান খানের জন্মদিন ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৬৫ সালে তাঁর জন্ম। সেই মতো ২০১৬ সালে তাঁর ৫১তম জন্মদিন পালিত হয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি ভোটার কার্ডের খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যেটি সালমান খানের প্রকৃত বয়স সম্পর্কে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে। 
হায়দরাবাদের পুরানা শহর এলাকায় কিছু দিন আগে আয়োজন করা হয়েছিল পৌরভোটের। সেই ভোটে ভোটকেন্দ্রে এক ব্যক্তি বিচিত্র ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিতে হাজির হন। ভোটার কার্ডে নামের জায়গায় লেখা সালমান খান এবং ছবির জায়গায় অভিনেতার ছবি। বাবার নামও সালমানের বাবা সেলিম খানের নাম। সেই কার্ডেই দেখা যায়, সালমানের বয়স লেখা রয়েছে ৬৪ বছর। 
এই কার্ড নিয়ে যিনি ভোট দিতে হাজির হয়েছিলেন, তিনি আদৌ অভিনেতা সালমান খান নন। এমনকী তাঁর নামও সালমান নয়। তা হলে এমন অদ্ভুত একটি ভোটার কার্ড তাঁর কাছে এল কী করে? এই বিষয়ে ভোটকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে চেপে ধরতেই তিনি জানান, তিনি দরিদ্র, এবং লেখাপড়া জানেন সামান্যই। তিনি ভোটার কার্ড পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় নাম নথিভুক্ত করেছিলেন এবং ছবি তুলিয়েছিলেন। 
কিছু দিন পরে ভোটাধিকারিকরা এই কার্ডটিই তাঁর হাতে তুলে দেন। কার্ডে নিজের ছবি দেখতে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তাঁরা নাকি বলেন, এই কার্ড নিয়ে ভোট দিতে তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না। তিনি কার্ডটি নিয়ে বাড়ি চলে আসেন।

ওই ব্যক্তির কথাবার্তা শুনে তাঁকে নিরপরাধ বলেই মনে হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীদের। তাঁরা তাঁকে ছেড়ে দেন। অবশ্য তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। 
ভোটার কার্ড ইস্যু করার সময়েই কোনও গোলমাল হয়েছে বলে ধারণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভোটকর্মীরা বলছেন, কোনও ভাবে ভুলবশত সালমানের নাম, পিতৃপরিচয় এবং ছবি ওই ব্যক্তির ভোটার কার্ডে চলে এসেছে।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, কার্ডে প্রকাশ পাওয়া তথ্যগুলি অভিনেতা সালমান খান সংক্রান্তই। ভক্তদের কাছে নিজের প্রকৃত বয়স গোপন করলেও, নির্বাচন কমিশনকে ঠিক তথ্যই দিয়েছিলেন অভিনেতা। সেই তথ্যই কোনও ভাবে অন্য এক ভোটারের পরিচয়পত্রে ছাপা হয়ে গিয়েছে, এমন দাবিও করছেন কেউ কেউ। এবেলা।

টুকতে বাধা, আইন পরীক্ষায় ফেল ৯০% পড়ুয়া


উত্তরপত্রের মূল্যায়নে কড়াকড়ি আনতেই পরীক্ষায় পাশ নম্বর তুলতে হিমশিম খেলেন পড়ুয়ারা। সম্প্রতি আগ্রার বি আর আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন ৯০% ছাত্রছাত্রী।

সোমবার আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে পড়ুয়াদের মধ্যে হাহাকার পড়ে গিয়েছে। মোট ১৭০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেলের হার দাঁড়িয়েছে ৯০%। উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নয়া নীতিই এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি বাকি ১৫,০০০ পড়ুয়ার পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, টোকাটুকি রুখতে এর আগে পরীক্ষাকেন্দ্র বদল তকরলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে বেসরকারি কলেজগুলি। গত ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন উপাচার্য অরবিন্দ দীক্ষিত। কাজ শুরু করেই পরীক্ষার খাতা দেখার ব্যাপারে বেশ কিছু রদবদল আনেন তিনি। জানা গিয়েছে, এবারের পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে। মূল্যায়ন শুরু হওয়ার পরে একের পর এক ফাঁকা উত্তরপত্র দেখে চোখ কপালে ওঠে পরীক্ষকদের। এছাড়া বেশ কয়েকটি উত্তরপত্রে ২-৩টির বেশি প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়নি। যার সুবাদে পাশ করার জন্য ন্যূনতম নম্বরও অর্জন করা সম্ভব নয়। বিষয়টি উপাচার্যের নজরে আনলে বিভ্রান্তি এড়াতে তিনি প্রত্যেকটি খাতা স্ক্যান করার নির্দেশ দেন।


সূত্রের খবর, আগ্রা শহরে রমরমিয়ে চলা টোকাটুকি চক্রের তরফ থেকে পড়ুয়াদের ফাঁকা উত্তরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। আসলে কড়া নজরদারির কারণে পরীক্ষার সময় টোকাটুকি করা অসম্ভব হওয়ার পরেই তারা ছাত্রছাত্রীদের এমন পরামর্শ দেয়। ঠিক হয়, পরীক্ষা শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নিম্ন শ্রেণির কর্মীর সাহায্যে ফাঁকা পাতার জায়গায় সঠিক উত্তর লেখা পাতা ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কড়া পদক্ষেপের কারণে তা সম্ভব হয়নি।

১১৯ বল খেলে কিউই ব্যাটসম্যানের শূন্য রান!!


ক্রিকেটের ইতিহাসে ১১৯ বল খেলে শূন্য রানে অপরাজিত থাকার মতো ঘটনা খুব কমই আছে। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে। 


নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার ফ্রেজার উইলসন ১২৬ মিনিট ব্যাট করে ১১৯ বল খেলে কোনো রানই করেননি।

আরও অবাক করা ঘটনা হল-পুরো সময় তিনি এক চোখ দিয়ে দেখে ব্যাট করছিলেন।

হক জোন কাপের এলিমিনেশন পর্বে সাউথল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করছিলেন ওটেগোর অধিনায়ক ফ্রেজার উইলসন। তিনি তার সতীর্থ টম মাইলসের সঙ্গে ২৩ ওভার ব্যাট করেন। মাইলস ৬৮ বলে ২৮ রান করলেও ফ্রেজার কোনো রান করেননি।

তিনি একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের পরাজয় বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ম্যাচ ড্র হতে যখন আর ৩ বল বাকি ঠিক তখনই তার সতীর্থ আউট হয়ে গেলে পরাজয় বরণ করতে হয় ফ্রেজারের দলকে।

এদিকে চোখের সমস্যা থাকায় চোখে লেন্স লাগিয়েছিলেন এ ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। তবে এক চোখের লেন্স হঠাৎ মাঠে পড়ে যায়। ফলে এক চোখ দিয়েই পুরো সময় ব্যাট করেন ফ্রেজার।